Posts

Showing posts from August, 2022

বিষধর সাপ চেনার কৌশল।

Image
  আমরা প্রায়শই বিষধর এবং অবিষধর সাপের মাঝে পার্থক্য নির্নয়কারাী কৌশল খুঁজে থাকি। ইন্টারনেটে যে টেকনিক গুলো পাওয়া যায় তার বেশির ভাগেই ত্রিভুজাকার মাথা এবং উলম্ব চোখের কথা বলা থাকে।  "ত্রিভুজাকার মাথা এবং উলম্ব চোখ বিশিষ্ট সাপ বিষধর এবং বাকি গুলো অবিষধর"।  এ টেকনিকটি ভারতীয় উপমহাদেশ এবং আফ্রিকার সাপের জন্য প্রযোজ্য নয়।  টেকনিকটি ইউরোপ এবং আমেরিকার জন্য প্রযোজ্য। এ দেশ গুলোতে প্রাপ্ত বিষধর সাপ ভাইপার পরিবারের আন্তর্ভুক্ত।  ত্রিভুজাকার মাথা এবং উলম্ব চোখ ভাইপার পরিবারের সাপেদের মাঝে দেখা যায়। ভারতীয় উপমহাদেশ এবং আফ্রিকা মহাদেশে ভাইপার বাদেও অনেক  বিষধর  সাপ পাওয়া যায়। যাদের দ্বারা প্রতি বছর উল্লেখ যোগ্য মানুষের মৃত্যু ঘটে। সুতরাং ইউরোপ কিংবা আমেরিকার বাইরের কেউ উক্ত টেকনিক দিয়ে বিষধর সাপ নির্নয় করলে বিপদ ঘটতে পারে।  বিষধর সাপ শনাক্তকরণের কোন সহজ পদ্ধতি নাই। নিজ দেশের বিষধর সাপ      ঝথা সম্ভব  চিনে রাখতে হবে।    বাংলাদেশে প্রাপ্ত সাপের দৈহিক বৈশিষ্টের আলোকে এ অঞ্চলে বিষধর সাপ শনাক্তকরণের কিছু কৌশল বর্ননা করা হলো।    ফণা যুক্ত সাপ বিষধর। যেমনঃ গোখরা  ( Naja spp. ), রাজ গোখরা বা শঙ

ল্যিসমানিয়াঃ সরষের ভিতর থাকা ভূত!

Image
 রক্তের শ্বেতকণিকা দেহের প্রতিরক্ষা বিভাগের গুরুত্ববহ দায়িত্ব পালন করে। দেহের বহিঃশত্রু দমনে এরা নিয়োজিত। শ্বেতকণিকার একটি উপাদান ম্যাক্রোফেজ। শরীরে রোগ জীবাণু প্রবেশ করলে এদের ভক্ষণ করা ম্যাক্রোফেজের কাজ। কিন্তু ল্যিসমানিয়া ( Leishmania donovani ) এই ম্যাক্রোফেজের ভিতরে বাসা বাঁধে এবং বংশ বিস্তার করে।  ভূত ঝাড়তে সরষে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সরষের ভিতরেই ভূত থাকলে কী হবে!    ল্যিসমানিয়া আমাদের দেহে কালা জ্বর ( Visceral leishmaniasis ) নামক রোগ সৃষ্টি করে। ল্যিসমানিয়া ( Leishmania donovani ) অ্যামিবা বা ম্যলেরিয়ার জীবাণুর  ন্যায় একটি এককোষি প্রাণী। এরা Phlebetomus  গনের স্যান্ডফ্লাই এর মাধ্যমে বাহিত  হয়। স্যান্ডফ্লাই এর নারী সদস্যরা মশার মতো রক্ত চোষে। কামড়ানোর সময় ল্যিসমানিয়া জীবানু মানুষের দেহে প্রবেশ করে। দেহে প্রবেশ করলে ম্যক্রোফেজ এদের গিলে ফেলে। কিন্তু এরা ল্যিসমানিয়া কে কাবু করতে পারেনা। বরং ল্যিসমানিয়া এদের দেহে বাসা বাঁধে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করে। পর্যাপ্ত পরিমানে সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ম্যাক্রোফেজ প্রাচীর ফেড়ে এরা বেরিয়ে আসে এবং শরীরের আনত্র ছড়িয়ে পড়ে।আক্রান্ত হবার পর রোগের লক্ষণ  প্রকাশ