Posts

Showing posts from December, 2022

অপরূপ লজ্জাবতী কাঁকড়া।

Image
    বাংলাদেশের সমুদ্র  সৈকতে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি হয়ত  লজ্জাবতী কাঁকড়া দেখে থাকবেন।  এরা নিশাচর। দিনের বেলা বালির গর্ত, পাথর বা   গাছের গুঁড়ির   নিচে ছায়া যুক্ত স্থানে থাকতে পছন্দ করে। তাই দিনের আলোতে সচরাচর এদের দেখা যায় না। এদের সৌন্দর্য যে কাউকেই মুগ্ধ করে।                Flower Moon Crab          ©Sumaiya Akter          এদের দেহ বিস্কিট কালারের হয় এবং এর মাঝে কালচে ফোঁটা ফোঁটা দাগের জালক থাকে। পা গুলো কমলা রঙ্গের এবং শেষের খন্ডটি সাদা প্রান্ত বিশিষ্ট উজ্জ্বল বেগুনি রঙের হয়ে থাকে। এ অংশটি চ্যাপ্টা। যা দিয়ে সহজেই বালিতে গর্ত করা যায়। দেহের দুই দিকে দুটি লম্বা কাটা থাকে।     Flower Moon Crab (ventral view)      ©Sumaiya Akter  এ প্রজাতি অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন,জাপান, ভারত, পাকিস্থান, শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারে  বিস্তৃত ।  বাংলাদেশের কক্সবাজার, মহেশখালী, সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া, সেন্ট মার্টিন ও সুন্দরবনের বালুময় সৈকতে এদের পাওয়া যায়।     পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে এদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।       Taxonomic Classification: Phylum: Arthropoda Class: Malacostrac

খেঁকশিয়াল নিয়ে কিছু কথা।

Image
খেঁকশিয়াল  ইংরেজিতে Bengal Fox বা Indian Fox (ভারতে এ নামে পরিচিত) নামে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Vulpes bengalensis । এদের আকার বিড়ালের চেয়ে সামান্য বড়। লম্বা কান এবং লোমশ লম্বা লেজ দেখে সহজে খেঁকশিয়াল  চেনা যায়।    IUCN Redlist অনুযায়ী এরা বিশ্বে Least Concern হলেও বাংলাদেশে vulnerable। আমাদের দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে (সুন্দরবন বাদে) এবং মৌলভীবাজারের কিছু জায়গায় খেঁকশিয়াল দেখতে পাওয়া যায় । কিন্তু বর্তমানে গাজীপুর ও আশুলিয়ার দিকেও এদের দেখা গিয়েছে।   এরা নিশাচর তবে দিনেও বের হয়।এদের খাদ্যতালিকায় পোকামাকড়, সরীসৃপ, পাখি, স্তন্যপায়ী বিভিন্ন প্রাণী সহ  ফলমূল রয়েছে। এরা পরিবারসহ গর্তে বাস করে। একসাথে বেশ অনেকগুলো গর্ত থাকে এবং গর্তগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই গর্তগুলো প্রজনন, বাচ্চা প্রতিপালন, শিকারি থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয়স্থল এবং বিশ্রামের জন্য ব্যবহৃত হয়।খেঁকশিয়াল সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বাচ্চা দেয় এবং ফেব্রুয়ারি-জুন মাস পর্যন্ত বাচ্চা প্রতিপালন করে। এরা সর্বোচ্চ 4টা পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে। বাংলাদেশে পাওয়া একমাত্র খেঁকশিয়াল প্রজাতি এটি। এছাড়াও ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তান এদের