গুইসাপের গুণাবলী


  Bengal Monitor  ©Muhammad Rokonuzzaman Rokon
গ্রাম গঞ্জে হরহামেশা গুইসাপ দেখা যায়। নাম গুইসাপ হলেও এরা আদতে সাপ নয়। ছোট মাথা এবং লম্বা ঘাড় বিশিষ্ট এ প্রাণী গুলো  টিকটিকি জাতীয় সরীসৃপ। এদের লম্বা লেজ বেশ শক্তপক্ত। হাস-মুরগী খাবার লোভে গ্রামের বাসা বাড়িতে এরা ঢুকে পড়ে। নামের সাথে সাপ যুক্ত থাকায় সাপের ন্যায় এদের নিয়েও আমদের আনেক ভুল ধারণা আছে।  অনেকেই এদের বিষধর সাপের ন্যায় বিষধর ভাবি।  আবার এদের থুথু বা লালা কে বিষাক্ত ভাবি। আদতে এরা মানুষের জন্য বিপদ জনক নয়। চলেন এদের সম্পর্কে কিছুটা জেনে আসি।  

গুইসাপ Varanidae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত । বাংলাদেশে গুই সাপের তিনটি প্রজাতি পাওয়া যায়। যথাঃ ১. Bengal Monitor (গুই সাপ) 2. Yellow monitor (সোনা গুই). 3.  Ring Lizard (কালো গুই/ রামগোদি)। এরা পঁচা গলা মরা প্রাণী খেয়ে আমদের পরিবেশ সুস্থ রাখে। এছাড়াও এরা সাপ, ইঁদুর , পতঙ্গ সহ অন্যন্য পাণিদেরও খেতে পারে। গাছে চড়ার ওস্তাদ এ প্রাণী গুলো পাখির ডিম বা পাখি শিকার করে। খাদ্যের অভাবে এরা বাসা বাড়ির হাঁস মুরগী চুরি করতে আসে। বাসায় ঢুকে পড়লে এদের ক্ষতি না করে এদের যাবার রাস্তা করে দিন। এদের কামড় মারাত্মক নয়। তবে কামড়ালে ইনফেকশন এড়াতে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। জুন- জুলাই মাস এরা প্রজনন করে এবং মাটিতে গর্ত খুড়ে ডিম পাড়ে।


                               Ring Lizard     ©Muhammad Rokonuzzaman Rokon
  

একটা মজার তথ্য দিই। রোদ পোহানোর জন্য মানুষের তৈরীকৃত খড়ের আগুনের অবশেষ থেকে এদের উত্তাপ নিতে দেখা গিয়েছে (গবেষণা লিংক)।


- Azizul Islam Barkat

Department of Zoology

University of Dhaka. 

ResearchGate


Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

PCR কী? কেনো? কীভাবে?

সাপের বিষদাঁত কেমন হয়?

iDNA এবং বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণ