সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদ থাকতে যা কিছু করণীয়

                   ©vanguardngr.com 

 প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ লক্ষ নব্বই হাজার মানুষ সাপে কাটার শিকার হয়। তন্মদ্ধে প্রায় ছয় হাজার মানুষ মারা যায়। জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে সাপ দ্বারা আক্রান্ত হবার ঘটনা বেশি ঘটে (গবেষণা লিংক)। 

বৃষ্টি মৌসুমে সাপের গর্ত প্লাবিত হয় এবং এরা  নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে উঁচু জায়গা বা আমাদের বাড়িতে চলে আসে। বিশেষত মাটির বাড়িতে সাপের উপদ্রব বেশি হয়। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারে। 

যেমনঃ 

১. মাটির ঘর হলে, মেঝে ও দেয়ালের গর্ত কিংবা ফাটল কাঁদা দিয়ে পূরণ করে দিতে হবে।

২. বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার রাখতে হবে।

৩. বাড়ির ভেতর সাপ প্রবেশ করতে পারে এরকম কোন রাস্তা রাখা যাবে না। যেমনঃ বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পাইপ থাকলে পাইপে চিকন নেট লাগিয়ে নিতে হবে। 

৪. ভুল করেও মশারী না টাঙ্গিয়ে ঘুমানো যাবে না। বর্ষা মৌসুমে বিষধর কেউটে (krait) বিছানায় উঠে আসে এবং এ সাপের কামড়েই ভারত উপমহাদেশে বেশি মানুষ মারা যায়।  

৫. ঘুমানোর আগে বিছানা ভালো ভাবে ঝেড়ে নিতে হবে। এটা একটি সুন্নতো বটে। 

৬. রাতে বের হলে হাতে অবশ্যই টর্চ রাখতে হবে। তা সে যতো পরিচিত রাস্তায় হোক না কেনো। 

৭. সকালে জুতা পায়ে দেবার পূর্বে দেখে নিতে হবে  ভিতরে পোকা মাকড় কিংবা সাপ আছে কিনা। ছোট খাট সাপ জুতার ভিতর অনায়াসে থাকতে পারে। 

৮. সাপে কামড়ালে ওঝার দরবারে না গিয়ে দ্রুত  রোগীকে মেডিকেলে নিতে হবে। মনে রাখতে হবেঃ সাপুরে, ওঝা বা কবিরাজ সাপের বিষ ঝাড়তে পারে না। প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাপুরে সাপের কামড়ে মারা যায় ।  

৯. বাংলাদেশে ১০০ প্রজাতির অধিক সাপ নথিভুক্ত হলেও মাত্র ৩-৪ প্রজাতির সাপের কামড় মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই বিষধর সাপ সম্পর্কে নিজে জানতে হবে এবং অপরকে সচেতন করতে হবে।।

জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে অযথা সাপ মারা যাবে না। প্রতিটি জীবই প্রকৃতির অপরিহার্য  অংশ। 

 তাই আসুন, সাপ সহ প্রতিটি বন্যজীব সংরক্ষণ করি। 




      - Azizul Islam Barkat

    Department of Zoology

    University of Dhaka. 

    ResearchGate 


Comments

Popular posts from this blog

PCR কী? কেনো? কীভাবে?

সাপের বিষদাঁত কেমন হয়?

iDNA এবং বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণ