সামুদ্রিক কাছিম ছানা অবমুক্তির বিষয়ে যা জানা উচিত
আজ ২৩ শে মে। বিশ্ব কাছিম দিবস। আমরা সবাই এই বিষয়ে অবগত যে বেশিরভাগ কাছিম সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। বিশেষ করে পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমুদ্রতীরে বালিয়াড়ির অভাবে সামুদ্রিক কাছিমের বংশবিস্তার ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কিছু এনজিও এবং সরকারি দপ্তর কাছিম সংরক্ষণের চেষ্টা করছে। তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে সামুদ্রিক কাছিম ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আমাদের যা জানা উচিত-
কাছিম ছানা © লেখক |
1. হাত দিয়ে ধরা বন্ধ করুন
আপনি বাচ্চা সামুদ্রিক কচ্ছপগুলিকে স্পর্শ বা ধরে রাখতে পারবেন না কারণ এটি তাদের বেঁচে থাকাকে প্রভাবিত করে। এদের পেটে সাদা বিন্দুর মতো থাকে যা তিন দিনের মতো আহার জোগায়। আপনি যদি তাদের খুব শক্তভাবে ধরেন তবে আপনি তাদের পেটের সাদা বিন্দুটি ভেঙে দিতে পারেন।
যদি এভাবে সামুদ্রিক কচ্ছপগুলি ধরে রাখেন, তাহলে আপনি সামুদ্রিক কাছিম প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন।
2. বালতি বা গামলাতে করে পানিতে না ছাড়া
সামুদ্রিক কচ্ছপগুলিকে জলে নয়, বালিতে ছেড়ে দিন। সমুদ্রের দিকে হামাগুড়ি দেওয়া, সামুদ্রিক কচ্ছপের টিকে থাকার অংশ। এটি তাদের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
3. সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় বাচ্চা ছাড়ুন
সামুদ্রিক কচ্ছপদের রক্ষা করার জন্য, তাদের সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় ছেড়ে দিন, এটি তাদের শিকারিদের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।কড়া রোদে বা দিনের আলোতে অবশ্যই না!
4. কোন ফ্ল্যাশ বা উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন
ক্যামেরা এবং সেল ফোনের উজ্জ্বল আলো সামুদ্রিক কচ্ছপদের বিভ্রান্ত করতে পারে। হ্যাচলিংস (সদ্য প্রস্ফুটিত ছানা) সমুদ্র থেকে দূরে সরে যেতে পারে।তাদের সীমিত শক্তি সমুদ্র যাওয়ার জন্য ব্যয় করতে দিন।
বাচ্চা সামুদ্রিক কচ্ছপ ছেড়ে দেওয়া চমৎকার এবং গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা। এদের সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
- - Sultan Ahmed
Wildlife researcher
Comments
Post a Comment