Posts

বাংলাদেশের ২০ টি কমন পাখি

Image
বাংলাদেশে সাত শতাধিক পাখি পাওয়া যায়। তন্মধে কিছু পাখি সারা দেশে যে কোন মৌসুমে দেখা মেলে। এমন ২০ টি পাখি নিয়ে আজকের আয়োজন।  ছবিঃ তানভীর আহমেদ  ১। House sparrow ( Passer domesticus ), চড়ুই  ২। House crow ( Corvus splendens ), কাক  ৩। common myna ( Acridotheres tristis ), ভাত শালিক  ৪। Asian Pied Starling ( Gracupica contra ), গো শালিক  ৫। Red-vented Bulbul ( Pycnonotus cafer ), বুলবুলি  ৬। Oriental Magpie-Robin ( Copsychus saularis ), দোয়েল  ৭। Indian Pond-Heron ( Ardeola grayii ), কানি বক  ৮। Little Egret ( Egretta garzetta ), বক  ৯। Little Cormorant ( Microcarbo niger ), পানকৌড়ি  ১০। Common Kingfisher ( Alcedo atthis ), মাছরাঙা  ১১। White-throated Kingfisher ( Halcyon smyrnensis ), ধলা মাছরাঙা  ১২। Black Drongo ( Dicrurus macrocercus ), ফিঙে  ১৩। Black Kite ( Milvus migrans ), চিল  ১৪। Fulvous-breasted Woodpecker ( Dendrocopos macei ), কাঠঠোকরা  ১৫। Spotted Dove ( Spilopelia chinensis ), তিলা ঘুঘু...

বালিয়াড়ির ঝিঁঝিঁ পোকা (Schizodactylus monstrosus)

Image
সম্প্রতি হবিগঞ্জের সাতছড়ি ন্যাশনাল পার্ক থেকে নতুন একটি পতঙ্গ বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের তালিকাতে যুক্ত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ পোকাটিকে খুঁজে পান যার ইংরেজি নাম Dune Cricket যার সহজ অনুবাদ হয়  বালিয়াড়ির ঝিঁঝিঁ পোকা এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Schizodactylus monstrosus । সাধারণ ঝিঁঝিঁ পোকা থেকে এরা সাইজে বেশ বড় এবং ৯ বার খোলস পরিবর্তন করে এরা পরিণত হয়। পরিণত বয়সে এদের পাখা থাকে। পাখা থাকলেও এরা উড়তে পারে না। বালুর উপর দিয়ে এরা দ্রুত চলতে পারে এবং লাফিয়ে অনেকটা দূরে যেতে পারে।    বালিয়াড়ির ঝিঁঝিঁ পোকা ভারত ও পাকিস্তানের আসাম, বিহার, কর্ণাটক, সিন্ধু এবং পাঞ্জাবে এ পতঙ্গ পাওয়া যায়। এ প্রজাতির সদস্যরা বালুতে গভীর গর্ত করে থাকে এবং রাতের বেলা শিকারে বের হয়।   আবাসস্থল সংকট এবং অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে প্রকৃতি থেকে এ সকল কীট পতঙ্গ হারিয়ে যাচ্ছে। এদের সংরক্ষণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। 

মেটাজিনমিক্সঃ পরিবেশে প্রাপ্ত অনুজীব প্রফালিং এর মলিকুলার টুল

Image
কোন স্যাম্পল থেকে প্রাপ্ত সকল নিউক্লিওটাইড সিকুয়েন্সের স্ট্রাকচার এবং ফাংশন স্টাডি করাকে মেটাজিনমিক্স বলে। যেমন কোন জীবের মল থেকে প্রাপ্ত  ডিএনএ স্টাডি করে সেখানে বিদ্যমান অনুজীবের পরিচিতি অর্থাৎ মলে থাকা সকল ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের পরিচয় শনাক্ত করা যায়  মেটাজিনমিক্স পদ্ধতির মাধ্যমে।  যদি মাটিতে থাকা অণুজীব সম্পর্কে স্টাডি করা হয়, তাহলে প্রথমে অল্প পরিমাণ মাটি ল্যাবেটরিতে নিয়ে তা থেকে ডিএনএ আলাদা করা হয়। প্রাপ্ত ডিএনএ গুলো  এনজিএস টেকনোলজির মাধ্যমে সিকুয়েন্স বের করা হয়। এ পর্যায়ে বায়োইনফরমাটিক্স অ্যানালাইসিস করে  অণুজীব এর পরিচয় শনাক্ত করা হয়।   বায়োমেডিকেল ফিল্ডে বর্তমানে গাট মাইক্রোবায়োম নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। গাট তথা পাকস্থলী ও নাড়িভুঁড়িতে যে সকল ব্যাক্টেরিয়া বসবাস করা তারা কীভাবে আমাদের শরীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ প্রভাবিত করছে তা মেটাজিনমিক্স পদ্ধতির মাধ্যমে জানা যায়। 

রক্তচোষা কী খায়?

Image
  জঙ্গলে, পার্কে কিংবা বাসার আশেপাশে আমরা হরহামেশা রক্তচোষা বা গিরগিটি দেখতে পাই। অনেক সময় লাল বর্ণ বিশিষ্ট গিরগিটি আমরা দেখে থাকি। রক্ত বর্ণ বিশিষ্ট রক্তচোষা বা গিরগিটি কি রক্ত চোষে বা পান করে? না। এরা রক্ত চোষে না কিংবা পানও করেনা। ছবিঃ তানভীর আহমেদ  তাহলে এরা কী খায় ?  গিরগিটি মূলত পতঙ্গভুক একটি সরীসৃপ। ইংরেজিতে এদের Garden lizard বলে এবং এদের বৈজ্ঞানিক নাম Calotes versicolor ।  এরা পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশ ও কৃষকের অনেক উপকার করে। সম্ভবত মাথার জায়গাটা রক্তবর্ণ বিশিষ্ট হওয়ার কারণে এদের নাম রক্তচোষা হয়েছে। তবে সব গিরগিটি লাল বর্ণ বিশিষ্ট হয় না। প্রজনন মৌসুমে শুধু পুরুষ গিরগিটির মাথা ও ঘাড়ের অংশ লাল বর্ণ ধারণ করে। পুরুষ গিরগিটি স্ত্রী গিরগিটিকে আকর্ষিত করতে এমনটা দরকার হয়। এদের প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। স্ত্রী গিরগিটি নরম বালি বা মাটিতে ডিম পাড়ে।    - Azizul Islam Barkat   ResearchGate  

এপিজেনেটিক্সঃ বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনে পরিবেশের প্রভাব

Image
 DNA সকল জীবের বৈচিত্র্য নিয়ন্ত্রণ করে। একজন মানুষ কালো না সাদা হবে, খাটো না লম্বা হবে সব কিছু তাঁর DNA তে লিপিবদ্ধ থাকে। তাহলে কি খাটো মানুষের সন্তান সব সময় খাটো হবে আর লম্বা মানুষের সন্তান লম্বা? এটার উত্তর সরাসরি হ্যাঁ বা না বলা সম্ভব না। কারণ বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের জন্য জিন বা DNA এর পাশাপাশি মানুষের লাইফস্টাইল, খাবার দাবার, আবহাওয়া অর্থাৎ পরিবেশের তাৎপর্য পূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জীবের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের ক্ষেত্রে পরিবেশের এ প্রভাবকে জীব বিজ্ঞানের ভাষায় এপিজেনেটিক্স (epigenetics) বলে।   বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের ক্ষেত্রে  পরিবেশ  কীভাবে DNA কে প্রভাবিত করে?  এর উত্তর হচ্ছে ডিএনএ মিথাইলেশন (DNA methylation) । পরিবেশের প্রভাবে (যেমনঃ   আবহাওয়া তাপমাত্রা, পুষ্টি, মানসিক চাপ, রেডিয়েশন) DNA তে মিথাইল মূলক (-CH3) যুক্ত হয়ে যায়। যার কারণ ডিএনএ থেকে প্রোটিন তৈরির প্রথম ধাপ ট্রান্সক্রিপশনের সময় মিথাইক মূলক যুক্ত ডিএনএ অংশটুকুতে ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর সংযুক্ত হতে পারে না। যার ফলে সে ডিএনএটা এক্সপ্রেস হয় না। অর্থাৎ সে ডিএনএ থেকে কোন প্রোটিন তৈরি হয় না। পরিবেশ এভা...

লাফিয়ে চলে চিড়িং মাছ

Image
  বাংলাদেশের উপকূলে থাকেন কিন্তু চিড়িং বা ডাহুক মাছের সাথে পরিচয় নাই এমনটা হতেই পারে না। এমনকি আমরা যারা দু-একদিনের জন্যেও উপকূলে ঘুরতে গিয়েছি তাঁরা নিঃসন্দেহে এ মাছটি দেখেছি। এরা উপকূলের কর্দমাক্ত স্থানে থাকে যেখানে জোয়ারের পানি পৌঁছায়। চিড়িং বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ   করে যার কারণে এরা গভীর পানিতে থাকতে পারে না।   চিড়িং Gobiidae পরিবার ভুক্ত একটি মাছ এবং ইংরেজিতে এদের Mud Skipper বলা হয়। বাংলাদেশে চিড়িং মাছের বেশ কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। যেমনঃ   Periophthalmus koelreuteri , Periophthalmus barbarous ,   Periophthalmodon schlosseri , Boleophthalmus boddarti ইত্যাদি। এ পরিবারের অন্যান্য পরিচিত সদস্যরা হচ্ছে বেলে এবং চেওয়া মাছ। চিড়িং মাছকে অহরহ দেখলেও এদের জীবন চক্রের অনেক কিছুই আমাদের অজানা। বিশেষত সন্তান প্রতিপালনে পুরুষ চিড়িং এর অবদান সবাইকে বিস্মিত করে। চলুন এদের প্রজনন নিয়ে কিছুটা জেনে আসা যাক।    ছবিঃ তানভীর আহমেদ    বংশবিস্তারের জন্য পুরুষ চিড়িং প্রথমে কাদার গর...

PCR কী? কেনো? কীভাবে?

Image
পিসিআর (PCR, polymerase chain reaction) একটি মলিকুলার পদ্ধতি যেখানে একটি ডিএনএ খণ্ডের অসংখ্য অনুলিপি তৈরি করা হয়। পিসিআর  বর্তমানে     মলিকুলার বায়োলজির আবিছেদ্য  একটি  অংশ। ১৯৮৩ সালে আমেরিকার প্রাণ  রসায়নবিদ ক্যারি মুলিস উক্ত পদ্ধতিটি প্রণয়ন করেন। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৩ সালে তিনি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। জীব দেহে যেভাবে ডিএনএ অনুলিপি তৈরি হয় অনেকটা সেভাবেই পিসিআর মেশিনের ভিতরে ডিএনএ খন্ডাংশের অনুলিপি তৈরি হয়। পিসিআর মেশিন মূলত একটি তাপীয় যন্ত্র যেখানে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিক্রিয়া অনুযায়ী তাপমাত্রা ওঠা- নামা করে। প্রথমে পিসিআর টিউবে জিনোমিক ডিএনএ বা টেমপ্লেট ডিএনএ , ২ টি প্রাইমার ( ফরওয়ার্ড ও রিভার্স ) এবং এর সাথে dNTPs ( ডিএনএ এর বেজ সমূহ তথাঃ A,T,G,C), ট্যাক পলিমারেজ , ও MgCl2   নির্দিষ্ট অনুপাতে নেয়া হয়। তবে বর্তমানে মাস্টার মিক্স নামে একটি সলিউশন ব্যবহৃত হয় যেখানে   dNTPs, ট্যাক পলিমারেজ , ও MgCl2 এর আদর্শ অনুপাত বজায় থাকে। ...