Posts

Showing posts from July, 2022

আমাদের রাক্ষস ব্যাঙ !

Image
 কোলা ব্যাঙ ( Indian Bullfrog: Hoplobatrachus tigerinus )  আমাদের আশেপাশে প্রাপ্ত সকলের পরিচিত একটি উভচর প্রাণী। বর্ষা আসলেই গ্রাম কিংবা শহরের জলাশয়ে  সহজেই এদের সাক্ষাৎ মেলে। এরাই বাংলাদেশে প্রাপ্ত সবচেয়ে বড় আকারের  ব্যাঙ ।  কোলা ব্যাঙের  রাসেলস  ভাইপার সাপ ভক্ষণ Ⓒ  D K Singh বাংলাদেশ থেকে একসময় ব্যাঙ, বিশেষত কোলা ব্যাঙের পা বিদেশে রফতানি করা হত। ক্রমশ ব্যাঙ পপুলেশন কমে যাওয়ায় ব্যাঙ রফতানি বন্ধ করা হয় এবং আইন করে ব্যাঙ সহ সকল বন্যপ্রাণী সংরক্ষন করা হয়। ব্যাঙ মাংসাশী প্রাণী এবং এরা বহুত পরিমানে কীট পতঙ্গ ভক্ষণ করে। তবে কোলা ব্যাঙ পোকা মাকড় ছাড়াও অনেক কিছুই ভক্ষণ করতে পারে। সুযোগ পেলে এরা পাখি বা ছোট স্তন্যপায়ী শিকার করে। সাধারণত আমরা জেনে আসছি সাপ ব্যাঙ খায়। অর্থাৎ সাপ শিকারী আর ব্যাঙ শিকার। কিন্তু কোলা ব্যাঙ এ সম্পর্কটা বদলে দিতে পারে। এরা ছোট খাট অবিষধর বা বিষধর সাপকে সহজেই গিলে ফেলতে পারে। অন্য ব্যাঙও এদের থেকে নিরাপদ নয়।  অন্য ব্যাঙকে এরা নিমিশেই খেয়ে ফেলতে পারে। গবেষণা লিংক           কোলা ব্যাঙের ব্যাঙ ভক্ষণ   বলা হয়ে থাকে ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করতে নেই। কিন্তু এই ছুঁচো কোলা ব্যাঙ ক

বাংলার সাপ-ব্যাঙ আলো ঝলমল !

Image
আমরা সবাই কম-বেশী ফ্লোরিস্যান্স পদার্থের সাথে পরিচিত। এটা এমন এক বিশেষ পদার্থ, যেটা সাধারণ আলোয় দেখা যায় না। এগুলো শুধু আলট্রাভায়োলেট আলোতে দৃশ্যমান। টাকা ,পাসপোর্ট সহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্লোরিসান্স পদার্থের ব্যবহার লক্ষনীয়। মজার বিষয় হচ্ছে প্রকৃতিতে বিভিন্ন প্রাণির মাঝেও   ফ্লোরিস্যান্স ধর্ম দেখা যায়। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত ফ্লোরিস্যান্স কে বায়োফ্লোরিস্যান্স বলে। বায়োফ্লোরিস্যান্স অনেক সামুদ্রিক জীবের ভিতর দেখা গেলেও স্থলচর জীবের মাঝে খুব বেশী দেখা যায় না।           সাধারণ লাইট (বামে) ও UV লাইটে (ডানে) দৃশ্যমান সাপ।     বাংলাদেশেরর তরুণ বিজ্ঞাণী দম্পতি Marjan Maria - Hassan Al-Razi সম্প্রতি একটি গবেষণা কর্ম সম্পন্ন করেছেন। এ গবেষণা কর্মে আরো উপস্থিত ছিলেন Sabir Bin Muzaffar ও Amaël Borzée ।   তারা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে   ৩৯৫ ন্যানোমিটার আলট্রা ভায়োলেট লাইট নিয়ে রাতে জরিপ করেন এবং ৪ টি প্রাণীর মাঝে ফ্লোরিস্যান্স ধর্ম আবিষ্কার করেন। এদের মাঝে রয়েছে ১ টি ব্যাঙ ( Microhyla berdmorei ) , ২ টি টিকটিকি ( Hemidactylus paltyurus , Cyrtodactylus tripuraensis )  

সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদ থাকতে যা কিছু করণীয়

Image
                    ©vanguardngr.com     প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ লক্ষ নব্বই হাজার মানুষ সাপে কাটার শিকার হয়। তন্মদ্ধে প্রায় ছয় হাজার মানুষ মারা যায়। জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে সাপ দ্বারা আক্রান্ত হবার ঘটনা বেশি ঘটে ( গবেষণা লিংক )।  বৃষ্টি মৌসুমে সাপের গর্ত প্লাবিত হয় এবং এরা  নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে উঁচু জায়গা বা আমাদের বাড়িতে চলে আসে। বিশেষত মাটির বাড়িতে সাপের উপদ্রব বেশি হয়। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারে।  যেমনঃ  ১. মাটির ঘর হলে, মেঝে ও দেয়ালের গর্ত কিংবা ফাটল কাঁদা দিয়ে পূরণ করে দিতে হবে। ২. বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার রাখতে হবে। ৩. বাড়ির ভেতর সাপ প্রবেশ করতে পারে এরকম কোন রাস্তা রাখা যাবে না। যেমনঃ বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পাইপ থাকলে পাইপে চিকন নেট লাগিয়ে নিতে হবে।  ৪. ভুল করেও মশারী না টাঙ্গিয়ে ঘুমানো যাবে না । বর্ষা মৌসুমে বিষধর কেউটে (krait) বিছানায় উঠে আসে এবং এ সাপের কামড়েই ভারত উপমহাদেশে বেশি মানুষ মারা যায়।   ৫. ঘুমানোর আগে বিছানা ভালো ভাবে ঝেড়ে নিতে হবে। এটা একটি সুন্নতো বটে।  ৬. রাতে বের হলে হাতে অবশ্যই টর্চ রাখতে হবে। তা সে যতো পরিচিত রাস্তা

Identifying an oriental venomous snake.

Image
  We often search for the techniques to differentiate the venomous and non-venomous snake. The result we found are mostly describing that the snake with triangular head and vertical eyes is venomous, and the rest are non-venomous. This technique is not suitable for oriental as well as African snake. It is useful for Europe and American snakes, as these countries consist of only venomous viper. Triangular head and vertical eyes are the characteristics of a venomous snake. There are so many medically important snakes present, excluding vipers, in oriental and African region. So, the techniques can be atrocious for enthusiast and can cause accident for misidentification.   There are simply no easy techniques for identifying venomous snake. It is better to have an idea on venomous snake in your area. Here are some techniques to identify a venomous snake of oriental region.     Hooded snakes are venomous. Ex: cobra ( Naja ), king cobra: ( Ophiophagus hannah ).                             

গুইসাপের গুণাবলী

Image
  Bengal Monitor    ©Muhammad Rokonuzzaman Rokon গ্রাম গঞ্জে হরহামেশা গুইসাপ দেখা যায়। নাম গুইসাপ হলেও এরা আদতে সাপ নয়। ছোট মাথা এবং লম্বা ঘাড় বিশিষ্ট এ প্রাণী গুলো   টিকটিকি জাতীয় সরীসৃপ। এদের লম্বা লেজ বেশ শক্তপক্ত।  হাস-মুরগী খাবার লোভে গ্রামের বাসা বাড়িতে এরা ঢুকে পড়ে। নামের সাথে সাপ যুক্ত থাকায় সাপের ন্যায় এদের নিয়েও আমদের আনেক ভুল ধারণা আছে।   অনেকেই এদের বিষধর সাপের ন্যায় বিষধর ভাবি।   আবার এদের থুথু বা লালা কে বিষাক্ত ভাবি। আদতে এরা মানুষের জন্য বিপদ জনক নয়। চলেন এদের সম্পর্কে কিছুটা জেনে আসি।   গুইসাপ Varanidae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত । বাংলাদেশে গুই সাপের তিনটি প্রজাতি পাওয়া যায়। যথাঃ ১ . Bengal Monitor (গুই সাপ) 2. Yellow monitor (সোনা গুই) . 3.  Ring Lizard (কালো গুই/ রামগোদি)। এরা পঁচা গলা মরা প্রাণী খেয়ে আমদের পরিবেশ সুস্থ রাখে। এছাড়াও এরা সাপ, ইঁদুর , পতঙ্গ সহ অন্যন্য পাণিদেরও খেতে পারে। গাছে চড়ার ওস্তাদ এ প্রাণী গুলো পাখির ডিম বা পাখি শিকার করে। খাদ্যের অভাবে এরা বাসা বাড়ির হাঁস মুরগী চুরি করতে আসে। বাসায় ঢুকে পড়লে এদের ক্ষতি না করে এদের যাবার রাস্তা করে দিন। এদের কামড়